আয়নাবাজি ফুল মুভি ডাউনলোড লিংক

আয়নাবাজি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছে। এটি একটি বাংলাদেশি অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। প্রযোজক কনটেন্ট ম্যাটারস লিমিটেড।

কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গাউসুল আলম শাওন ও অনম বিশ্বাস। ছবির প্রধান চরিত্রে আছেন চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা ও পার্থ বড়ুয়া।

কাহিনী সংক্ষেপ:

শরাফত করিম আয়না পুরান ঢাকায় ছোটদের নাটকের স্কুল চালায়। সবাই ভাবে, সে জাহাজের বাবুর্চি। আসলে, সে ধনী অপরাধীদের হয়ে জেলে সাজা খাটে। পরিচালক গাউসুল তাকে এসব কাজ দেয়।

একদিন ব্যবসায়ী কুদ্দুস সিদ্দিকী নারী নির্যাতনের মামলায় ফেঁসে যায়। কুদ্দুস জেলে না গিয়ে আয়নাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সাজা হলে কুদ্দুসের বদলে আয়না জেলে যায়। কুদ্দুস বাইরে থেকে পার্টি করে আর নির্যাতিতা তানিশাকে ভয় দেখায়। রিপোর্টার সাবের ঘটনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।

এরপর আয়নাকে আরেকটি বদলি সাজা খাটতে বলা হয়। এক ধনী ছেলে এক ড্রাইভারের ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আয়না রাজি হয়, কিন্তু রিপোর্টার সাবের তাকে অনুসরণ করতে থাকে। আয়না নানা ছলচাতুরী করে সাবেরকে এড়িয়ে চলে যায়।

ফিরে আসার পর, আয়নার সঙ্গে হৃদির বন্ধুত্ব হয়। হৃদি তার নতুন প্রতিবেশী। ধীরে ধীরে তারা কাছাকাছি আসে। আয়না ঠিক করে, এবার অপরাধের জীবন ছেড়ে দেবে। তারা সিলেট বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।

কিন্তু রওনার দিন সকালে, রাজনীতিবিদ নিজাম সাঈদের লোকজন আয়নাকে ধরে নিয়ে যায়। নিজাম একজন স্কুলশিক্ষককে খুন করেছে। সে আয়নাকে তার বদলি হিসেবে জেলে পাঠাতে চায়। আয়না রাজি হয় না। কিন্তু জোর করে তাকে পাঠানো হয়।

সাবের ও হৃদি আয়নার আসল জীবন সম্পর্কে জানতে পারে। এদিকে, আদালত আসল নিজামকে ফাঁসির আদেশ দেয়। কিন্তু নিজাম পালিয়ে যায়। গুন্ডা লাগিয়ে গাউসুলকে খুন করায়, যাতে আয়না কিছু প্রমাণ করতে না পারে।

জেলে আয়না কারারক্ষী লাবু মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। অভিনয়ের ছল করে লাবুকে নিজাম সাজিয়ে, নিজে লাবুর বেশ ধরে পালিয়ে যায়।

শেষ দৃশ্যে, আয়না পুলিশকে নিজামের ঠিকানা জানিয়ে দেয়। পুলিশ নিজামকে গ্রেফতার করে। আয়না ও হৃদি ছোটদের নাটক “তাসের দেশ” দেখতে বসে।